কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্কুলশিক্ষক মুন্সী রবিউল ইসলাম হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও জায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুন্সী মো. সোহাগ (৫৫) হলেন নিহত স্কুলশিক্ষক মুন্সী রবিউল ইসলামের ভাতিজা। তিনি কুমারখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের মুন্সী রেজাউল করীমের ছেলে।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন-দয়ারামপুর গ্রামের প্রয়াত মজিবর রহমানের ছেলে মো. রাজু আহমেদ (৩৫), কোমরকান্দি গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে রুবেল (৩০) এবং দুর্গাপুর গ্রামের হাতেম শেখের ছেলে আজাদ (৪০)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে উপজেলার হোগলা মহেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউলকে তার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা হাওয়া খাতুন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে এই হত্যাকাণ্ডে চার আসামি জড়িত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামি নিহতের ভাতিজা সোহাগের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব ছিল। এর জেরে অন্য আসামিদের সঙ্গে নিয়ে সোহাগ চাচা রবিউলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অনুপ কুমার নন্দী জানান, দীর্ঘ সাক্ষ্য শেষে আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিএ-০১/০৫-০৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)