কুমিল্লা সীমান্তে আনোয়ার হোসেন আনু মিয়া (৪৫) নামের এক বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার ২৯ ঘণ্টা পর লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। রোববার বিকেলে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার মতিনগর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আনু মিয়ার লাশ হস্তান্তর করে ভারতের সোনামোড়া থানা পুলিশ।
গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে ভারত সীমান্তের ইউএনসি নগর এলাকা এবং আদর্শ সদর উপজেলা নিশ্চিন্তপুরের হানকিজলায় ৭৮নং পিলারসংলগ্ন স্থানে আনোয়ার হোসেন আনু মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে কামরুল ও ফারুক নামের দুই ভারতীয় মাদক কারবারি।
নিহত আনু মিয়া হানকিরজলা এলাকার মৃত সেতু মিয়ার ছেলে। তবে প্রকাশ্যে পিটিয়ে আনু মিয়াকে হত্যা করা হলেও ভারতে এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হওয়ায় নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিজিবি জানায়, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের সোনামোড়া থানা পুলিশ বাংলাদেশ সীমান্তের মতিনগর এলাকায় মরদেহ নিয়ে আসে। সেখানে পতাকা বৈঠকের পর লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৬০ বিজিবির মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন মুদাছছিরুল ইসলাম, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক, বিজিবির ক্যাম্প ইনচার্জ তাজুল ইসলাম, ভারতের পক্ষে সোনামোড়া মহকুমার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমেন্দ্র বিকাশ পাল এবং ৭৪ বিএসএফের মতিনগর ক্যাম্প ইনচার্জ তেজাতুলো বাতা দৌলা।
এ বিষয়ে বিজিবির ক্যাপ্টেন মুদাছছিরুল ইসলাম বলেন, ভারতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ভারতে এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে বিএসএফ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে আমাদেরকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিশ্চিন্তপুর এলাকার চা-দোকানি আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে বাকেয়া চা-সিগারেট সেবন করে কামরুল নামে ভারতীয় এক ব্যক্তি। আনোয়ার হোসেন তার কাছে বকেয়া ৪৫০ টাকা দাবি করলে চড়াও হন কামরুল। পরে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য আনোয়ারকে ভারতের অভ্যন্তরে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় কয়েকজন মিলে চা-দোকানিকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
বিএ-১৩/০৮-০৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)