হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে পালালেন দুই রোগী

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে থাকা এক নারীসহ দুই রোগী পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

পালিয়ে যাওয়া দুই রোগী হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার লবণগোলা গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী নাদিরা বেগম (৩৫) ও ভোলা সদর উপজেলার চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামের নাজির আহমেদ সিকদারের ছেলে নুরুল ইসলাম সিকদার (৬৫)।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন জানান, নাদিরা বেগম জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে গত ৫ এপ্রিল রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। একদিন করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে থাকার পর গত ৬ এপ্রিল তিনি পালিয়ে যান। অন্যদিকে একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল ভর্তি হন নুরুল ইসলাম সিকদার। তিনদিন আইসোলেশনে থাকার পর গত ৭ এপ্রিল তিনিও পালিয়ে যান।

তিনি জানান, তাদের দু’জনেরই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছিল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই তারা পালিয়ে গেছেন।

ডা. এসএম বাকির হোসেন আরও জানান, করোনা ইউনিট থেকে ওই দুজন পালানোর ঘটনায় বুধবার ও গতকাল মঙ্গলবার কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক দুটি জিডি করা হয়েছে। এছাড়া এভাবে যেন করোনা ইউনিট থেকে কোনো রোগী চলে যেতে না পারে সে জন্য পুলিশ প্রশাসনকে পাহারা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, ভোলা ও বরগুনা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে নাদিরা বেগম ও নুরুল ইসলাম সিকদার নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। তাদের চোখ এড়িয়ে কীভাবে দু’জন পালালো তা বোধগম্য নয়। নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে থাকলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

বিএ-২১/০৭-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)