স্ত্রীকে হত্যার করে লবণ মাখিয়ে ‘চিকিৎসা’ করাতে আনলেন স্বামী

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে শান্তা (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশ বলছে, স্ত্রীকে হত্যার পর শরীরে লবণ মাখিয়ে কম্বল মুড়িয়ে দেন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে আসেন চিকিৎসা করাতে। এ অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বন্দর রাজবাড়ী এলাকায এ ঘটনা ঘটে।

আটক ব্যক্তির নাম আমিরুল ইসলাম। তিনি বন্দর রাজবাড়ির এলাকার সুলতান মিয়ার ভাড়াটিয়া রফিকুল ইসলোমের ছেলে। বর্তমানে বন্দর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

নিহত শান্তা সোনারগাঁও উপজেলার বারদী এলাকার কলিমুল্লার মেয়ে।

ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বন্দর থানার এসআই সবুর। তিনি জানান, লোক মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম তার স্ত্রীকে হত্যা করে শরীরে লবণ মাখিয়ে কম্বল পেঁচিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে দেন। মঙ্গলবার দুপুরে নিজেই লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক লাশের মাথায় মাথায় আঘাত দেখতে পান এবং ২-৩ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ জরুরি বিভাগে রেখে স্বামীকে আটক করে থানায় খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।

স্বামী আমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা ।

এসএইচ-৩২/২৯/২০ (আঞ্চলিক ডেস্ক)