শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: যুক্তিতর্ক ৬ জানুয়ারি

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সাফাই সাক্ষীর মধ্যদিয়ে আসামিপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ বিষয়ে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে ৬ জানুয়ারি। আদালতে উভয়পক্ষই ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

সকাল থেকে আদালত পাড়ায় অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সকাল ১১টার মধ্যে উভয়পক্ষে লোকজন আদালতে হাজির হন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী এ মামলার অন্যতম আসামি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিতে আসায় আদালত পাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আসামিপক্ষে এসময় শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ (২), অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান পিন্টু প্রমুখ। এ ঘটনায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ছিলেন না বলে সাফাই সাক্ষীতে রুহুল কবির রিজভী ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড.আব্দুল লতিফ।

সরকারিপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুল লতিফ বলেন, সাফাই সাক্ষী শেষ, যুক্তিতর্ক পরবর্তী ৬ জানুয়ারি, শিগগিরই মামলার রায় হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যান। এদিন তিনি কলারোয়া হয়ে মাগুরা ফিরে যাওয়ার পথে তার গাড়িবহর নিয়ে হামলার শিকার হন। সেখানে গুলি এবং মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুনরুজ্জীবিত মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। এ মামলার ৫০ আসামির মধ্যে ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে তৎকালিন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এসএইচ-৩১/৩১/২০ (আঞ্চলিক ডেস্ক)