হাসপাতালের করোনা ইউনিট তালাবদ্ধ

দেশের কোথাও যখন করোনা রোগীদের শয্যা মিলছে না, তখন নেত্রকোনার ১০০ শয্যার আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটটি পড়ে আছে তালাবদ্ধ অবস্থায়। ভর্তি হতে পারছেন না একজন রোগীও।

এ ছাড়া এখানকার নোংরা পরিবেশ আর চিকিৎসাসেবা নিয়েও অভিযোগের অন্ত নেই। কোনো আইসিইউ বেড না থাকলেও সিভিল সার্জন বলছেন, করোনা সেবায় পুরোপুরি প্রস্তুত তারা।

নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, পুরো স্বাস্থ্যসেবার বেহাল অবস্থা। শুধু ডাক্তারই নন, রোগ টেস্ট করারও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।

লকডাউনে কষ্ট করে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা রোগীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা। হাসপাতালের সাধারণ রোগী ও স্বজনরা বেডে বসেও পরছে মুখে মাস্ক ছাড়াই।

৫০ শয্যার জনবল দিয়ে চলা ১০০ শয্যার হাসপাতালে গত বছর থেকেই খোলা হয় ৩৬টি শয্যার করোনা ইউনিট। সিঁড়িতেই আটকানো পুরনো জিনিসপত্রে। আর শুয়ে থাকেন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। ভিআইপিসহ ওয়ার্ডের রুমে ঝুলছে তালা।

জেলায় করোনার নমুনা পরীক্ষা দিলে ময়মনসিংহ থেকে রিপোর্ট আসে কয়েক দিন পর। কখনো আসেই না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ নগরবাসী।

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কৃপা নাথ স্বীকার করলেন, করোনা ইউনিটে রোগী নেই। আর তালাবদ্ধ থাকলেও সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া জানালেন, করোনা রোগীদের সেবা দিতে প্রস্তুত তারা।

জেলা প্রশাসন জানায়, করোনা শুরুর পর থেকে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হন ৯৯৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮৭৯ জন। মারা গেছেন ১৮ জন।

এসএইচ-২৩/২৬/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)