চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় প্রকৃত আসামির পরিবর্তে সাজা খাটতে থাকা নিরপরাধ মিনু পাগলিকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। মিনু পাগলির পক্ষে আইনি লড়াই করা চট্টগ্রামের তরুণ আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ রাইজিংবিডিকে এই তথ্য জানান।
আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, চট্টগ্রাম নগরীর হত্যা মামলার মূল আসামি কুলসুম আক্তার প্রকাশ কুলসুমির পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাভোগ করছেন মিনু পাগলি।
২০০৬ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জ বাংলা কলেজ এলাকায় খুন হয় পোশাককর্মী কোহিনুর। কোহিনুরের বাবা নুরুল ইসলাম মামলা করলে ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর একমাত্র আসামি কুলসুমকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এর এক বছর পর ২০০৯ সালের ১৮ জুন জামিনে মুক্ত হয়ে পালিয়ে যায় কুলসুম।
বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদালতের নজরে আনার পর গত ২৪ মার্চ তার নথি পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য দ্রুত হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
হাইকোর্টে মিনুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। শুনানি শেষে আদালত মিনুকে মুক্তির আদেশ দেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র চট্টগ্রামে পৌঁছলে কারাগার থেকে মিনু পাগলি মুক্তি পাবেন বলে জানান আইনজীবী মুরাদ।
রায় প্রদানকালে আদালত বলেন, ‘আমরা মনে করি, এভাবে যদি প্রকৃত দোষী অর্থের বিনিময়ে হোক অথবা বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে নিজেকে বাঁচিয়ে অন্য নিরপরাধ ব্যক্তিকে জেলের মধ্যে আটক রাখে, সেটা দুর্ভাগ্যজনক।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বশির উল্লাহ বলেন, ‘আমরাও এটা চাই দোষীদের শাস্তি হোক, নিরপরাধ কেউ যাতে জেলে না থাকে।’
এসএইচ-১৪/০৭/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)