স্বামীর পরকীয়া জেনে যাওয়াই কাল হলো মাকসুদার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকায় মাকসুদা সুলতানা ঝিনুক (২২) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার পর তার মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনেরা।

এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বজনরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

জানা গেছে, গত পাঁচ বছর আগে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আইয়ুব আলী খানের ছেলে সোহেল মিয়ার সঙ্গে কসবা উপজেলার বাদুইর গ্রামের মো. ফারুক মিয়ার মেয়ে মাকসুদা সুলতানা ঝিনুকের বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।

এর মধ্যে এই দম্পতির ঘরে আরিয়ান নামে ৩ বছরের একটি ছেলে সন্তান আসে। তবে বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্বামী, শাশুড়িসহ স্বজনেরা প্রায়ই তার উপর নির্যাতন করতেন। বিষয়টি নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ প্রায়শই তাদের স্বজনদের এ বিষয়ে জানাতেন। গৃহবধূর স্বজনরা এই নিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ ও করেছেন।

নিহতের বড় বোন তানিয়া আক্তার জানান, যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা ছাড়াও সোহেল তার আগের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ায়। এ নিয়ে কথা বললে তার বোনকে প্রায়ই নির্যাতন করত সোহেল। আর আজ তাকে প্রাণেই মেরে ফেলা হলো। তাকে হত্যা করে লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। পরে তাদের লোক মাধ্যমে জানান হয়, সে আত্মহত্যা করেছে।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ ইবনে আনোয়ার হোসেন জানান, ‘ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে মৌখিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনা জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। নিহতের স্বজনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসএইচ-২২/০৮/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)