পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১২ বস্তা টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছে। শনিবার সকাল জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির উপস্থিতিতে এগুলো খোলা হয়। দানবাক্স থেকে যে টাকা পাওয়া গেছে তা মোট ১২ বস্তা হয়েছে। এ ছাড়া দান হিসেবে পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বস্তাগুলো থেকে টাকা ঢেলে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় চলছে গণনার কাজ। পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্সের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও রুপালি ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা গণনা করছেন।

এর আগে সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া যায়। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, টাকা গণনা শেষ হতে বিকেল হয়ে যাবে। টাকা গণনা শেষ হলে তা ব্যাংকে রাখা হবে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বক্স খোলার সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে।

এবার চার মাস ২৬ দিন পর দানবাক্স খোলা হচ্ছে। এর আগে গত বছরের ২২ আগস্ট ছয় মাস সাত দিন পর দান দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন সেখানে এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া যায়।

জানা যায়, প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার দান করেন। এ ছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়।

এসএইচ-০৪/১৯/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)