করোনা রোগীর আত্মহত্যা!

করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় যশোরে হাবিবুর রহমান (৪৮) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। বুধবার ভোরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

হাবিবুর রহমান যশোর সদরের খোলাডাঙ্গা উত্তরপাড়া এলাকার হাজী ওয়াজেদ আলীর ছেলে এবং পেশায় ইজিবাইক চালক।

তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

হাবিবুরের পরিবার সূত্রে জানায যায়, গত ৩১ জুলাই যশোর জেনারেল হাসপাতালের ল্যাবরেটরি টেস্টে তার করোনা শনাক্ত হয়। তারপর থেকে হাবিবুর আলাদা থাকতেন।

আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম জানান, হাবিবুর করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার খাবারের জিনিসপত্র ও ঘর আলাদা করে দেওয়ায় অভিমানে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

হাবিবুরের বড় ভাই জিয়াউর রহমান বলেন, ভোর ৫টার দিকে ভাবি ফোন করে জানান- তোমার ভাই আত্মহত্যা করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে গিয়ে দেখি ভাইয়ের মরদেহ একটি খাটের উপরে নামিয়ে রাখা হয়েছে।

কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারণ আসলে আমরা কেউ বলতে পারছি না। তার আর্থিক অবস্থা এখন ভাল। স্ত্রী আর ৪ বছরের একটি মেয়ে নিয়ে থাকেন আলাদা বাড়িতে। তবে, করোনা হওয়ায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না বলতে পারব না।

বাদ আছর তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা জানান তার ভাই।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. তাজুল ইসলামের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, করোনা আক্রান্ত হাবিবুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম করিয়েছি। শুনেছি- স্ত্রী রেহেনা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে বলেছিলেন। এতে অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

হাবিবুর রহমানের আত্মহত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

এসএইচ-১৮/০৪/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)