যে কোনো দিন খুলে দেওয়া হবে পায়রা সেতু

প্রস্তুত পায়রা সেতু। আগামী মাসে যে কোনো দিন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সাগরকন্যা কুয়াকাটার পর্যটন সম্ভাবনা মাথায় রেখে সেতুটি নান্দনিক রূপে গড়ে তোলা হয়েছে। এটি চালু হলে কুয়াকাটা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার ফেরিমুক্ত যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

বরিশাল বিভাগের মানুষের অপেক্ষার দিন প্রায় শেষ। চালু হচ্ছে পায়রা সেতু। মুল সেতুর ৯৯ ভাগ কাজ শেষ। এখন টোল প্লাজা ও প্রশাসন ভবনের শেষ ধাপের কাজ চলছে।

চার লেনবিশিষ্ট সেতুটির দৈর্ঘ্য এক হাজার ৪৭০ মিটার। প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার। আর অ্যাপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য এক হাজার ২৬৮ মিটার। সেতুটিতে রয়েছে ৩২টি স্প্যান আর ৩১টি পিয়ার। বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে নির্মিত সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার খবরে খুশি স্থানীয়রা।

তারা বলছেন, ব্রিজটি হওয়ার কারণে এলাকার মানুষ খুব সহজেই যাতায়ত করতে পারবে। এতে কমে সময় কম লাগবে, কষ্টও কমে যাবে। ব্রিজটিকে ঘিরে এলাকার উন্নন হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

টোল প্লাজার কাজ শেষ হলেই উদ্বোধন করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

পায়রা সেতু প্রকল্পের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান জানান, অল্প কিছু কাজ বাকি আছে। এই কাজগুলো শেষ হলে আমরা সেতুটির উদ্বোধন দিকে যাব ইনশাল্লাহ।

ভূমিকম্প সহনীয় করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।

পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হালিম বলেন, সেতুটি ভূমিকম্প সহনীয় করে নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের গার্ডারের নিচে সিসমিক ট্রান্সমিশন ইউনিট (এসটিইউ) স্থাপন করেছি। এ সেতু খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সর্ব দক্ষিণে কুয়াকাটা পর্যন্ত ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে।

জমি অধিগ্রহন থেকে শুরু করে সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে এক হাজার তিনশো সাতচল্লিশ কোটি টাকা। একটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটি নির্মাণ করেছে। কুয়েত-ওপেক ফান্ড এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে।

সাগরকন্য কুয়কাটার পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সেতুটি দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হয়েছে। শুধু সেতু নির্মাণে ব্যায় হয়েছে এক হাজার একশ আঠারো কোটি টাকা। পায়রা সেতু বরিশাল অঞ্চল তথা উপকুলীয় এলাকার মানুষের অর্থনীতি উন্নয়নে সহায়ক হবে। বদলে দেবে এঅঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। পায়রা সেতু থেকে ফিরদাউস সোহাগ সময় সংবাদ।

এসএইচ-২০/২২/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)