ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে মাদ্রাসায় যাওয়ায় ছাত্রকে বেদম পিটুনি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে মাদ্রাসায় যাওয়ায় সাবির মাহমুদ (১২) নামে এক ছাত্রকে বেদম বেত্রাঘাত করেছেন শিক্ষক। গতকাল সোমবার বিকেলে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের গন্ধব্যপাড়া তাহফীজুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নির্যাতিত ছাত্রের বাড়ি উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদ পলাতক রয়েছেন। তার বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়।

ভুক্তভোগী জানায়, বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশে ভালো পাঞ্জাবি পরে বের হয়েছিল সে। পথে ভ্যানগাড়িতে লেগে তার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। পরে তা পরেই মাদ্রাসায় যায়। ছেঁড়া পাঞ্জাবি দেখে সহপাঠীরা হাসাহাসি করতে থাকে।

সেখানে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদ আসেন। তিনি সাবিরকে ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে আসতে দেখে ক্ষেপে যান। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক সাবিরকে বেদম বেত্রাঘাত করতে থাকেন। এ সময় সাবির অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সাবি মাহমুদের পরিবার জানায়, সন্ধ্যায় সে বাড়িতে গেলে পাঞ্জাবি খুললে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। তার শরীরে ৩০টি বেত্রাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে সাবিরের অভিভাকরা মাদ্রাসা পরিচালক মাহবুবুর রহমান সোহেল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমানকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ছাড়া মির্জাপুর থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করে তার পরিবার।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষকদের ডেকে থানায় ডাকেন। উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত শিক্ষক দোষী প্রমাণিত হলে শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদকে মাদ্রাসা থেকে অব্যহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মাদ্রাসাটির পরিচালক মাহবুবুর রহমান সোহেল জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়ে মির্জাপুর থানায় অফিসে বসা হয়েছিল। তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এসএইচ-৩৪/১২/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)