কোরআন অবমাননার অভিযোগে মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর

বরিশালের গৌরনদীতে কোরআন অবমাননা করে ফেসবুকের একটি পোস্টে মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে মহানন্দ বৈদ্য নামের এক সনাতন ধর্মালম্বী যুবককে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এদের মধ্যে অতি উৎসাহী একটি অংশ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের তিনটি মন্দিরে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের ধুরিয়াইল কাজিরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবক কুরআন অবমাননা করে ফেসবুকের একটি পোস্টে মন্তব্য করলে শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি স্থানীয় একদল মুসলিমদের নজরে আসে।

পরে তারা জড়ো হয়ে মহানন্দকে ধরে পুলিশে দেয়। এরপর স্থানীয় ধুরিয়াইল কাজিরপাড় সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, পাশের হরি মন্দির এবং জগদীশ বৈদ্যর বাড়ির হরি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায়। এতে ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

এ বিষয়ে সার্বজনীন দূর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বৈদ্য জানান, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই একদল লোক লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে মন্দিরের প্রতিমাসহ সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসএইচ-২৪/১৬/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)