রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী আতঙ্ক বাড়ছেই

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নামে-বেনামে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। যাদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ক্যাম্পের বাসিন্দারা। আধিপত্য বিস্তার ছাড়াও চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কাজ করছে।

এদিকে ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএন বলছে, নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঘনবসতিপূর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্প। যেখানে চেনা-অচেনা অসংখ্য মানুষের পদচারণা থাকে রাতদিন। ক্যাম্পের এমন প্রাণচাঞ্চল্য ছাপিয়ে অনেক সময় আতঙ্ক ভর করে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে। কারণ, প্রায়ই কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ হানা দেয় ক্যাম্পের কোথাও না কোথাও। কখনো চাঁদা দাবি করে, আবার কখনো তাদের হয়ে কাজ করার জন্য চাপ দেয়।

রোহিঙ্গাদের দাবি, ক্যাম্পে চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাতিসহ এমন কোনো অপরাধ নেই, যা করে না সক্রিয় সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো। এসব দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান কক্সবাজার ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. তারিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, আমরা সারাক্ষণই তাদের বিরুদ্ধে রেট করি। আমাদের বিশেষায়িত একটি দল আছে। তাদের দিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করে থাকি। প্রযুক্তির সাহায্যে, ড্রোনের সাহায্যে আমরা কিন্তু অভিযান পরিচালনা করে থাকি।

কক্সবাজার ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. নাঈমুল হক জানান, কিছু দুষ্কৃতকারী আছে তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে থাকে। আমরা কিন্তু তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।

কক্সবাজার উখিয়া ক্যাম্প ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, দুষ্কৃতকারীরা সাধারণ রোহিঙ্গাদের জন্য ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে এমন পরিস্থিতি ক্যাম্পে নেই।

তিনি আরও জানান, দুষ্কৃতকারী যারা আছে তারা এক প্রকার গা ঢাকা দেওয়া অবস্থা। সুতরাং তারা সাধারণ রোহিঙ্গাদের জন্য ভীতির কারণ হয়ে উঠবে এই অবস্থা এখন ক্যাম্পে নেই।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি আশ্রয় শিবির রয়েছে। দুর্বৃত্তরা এসব ক্যাম্পে অপরাধ করে পাহাড়ি জঙ্গলে থাকা আস্তানায় আশ্রয় নেয় বলে জানিয়েছে রোহিঙ্গারা।

এসএইচ-০৭/১৮/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)