মাকে কুপিয়ে হত্যা করল মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলের হাতে মা খুন হয়েছে। বুধবার ভোর রাতে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বড়ালি এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। নিহত মনোয়ারা বেগম (৬৫) মৃত আবুল হোসেন দেওয়ানের স্ত্রী।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলের দুই কিলোমিটার দুর থেকে ঘাতক ছেলে মমিন হোসেন দেওয়ানকে (৩৫) জনতা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুধবার ভোর রাতের কোনো এক সময় নিজেদের বসতঘরে খুন হন মনোয়ারা বেগম। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনার পরপরই মনোয়ারা বেগমের ছেলে মমিন হোসেন দেওয়ান বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেয়।
আহসান উল্লাহ দেওয়ান নামে একজন জানান, মমিন মানসিকভাবে বিকারগস্ত।

বিগত ২০০৩ সালে সালে ঠিক একই কায়দায় আপন জেঠাতো বোনকে কুপিয়ে হত্যা করে মমিন। তারপর দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল। কিন্তু আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরে। এবার তার হাতে প্রাণ গেল মায়ের।

মো. মামুন নামে আরেকজন জানান, সকালে পূর্ব বড়ালি এলাকায় উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরছিলেন মমিন হোসেন দেওয়ান। এমন অবস্থায় এলাকাবাসী আটক করে মমিনকে। পরে পুলিশে জানানো হলে পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল কুদ্দুস একদল পুলিশ নিয়ে এসে মমিনকে জনতার কাছ থেকে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনা সম্পর্কে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, মাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত মমিন হোসেন দেওয়ানকে আটক করা হয়েছে। কি কারণে সে তার মাকে হত্যা করেছে। এই বিষয় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

জানা যায়, শৈশবের মমিন হোসেন দেওয়ান তার বাবা আবুল হোসেন দেওয়ানকে হারান। তার আরেক ভাই মাসুদ হোসেন দেওয়ান প্রবাসী ছিলেন। গত দু’বছর আগে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান।

মমিন হোসেন দেওয়ান বিয়ে করলেও তার পাগলামির কারণে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান।
এর আগে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত মনোয়ারা বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এসময় লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ।

এসএইচ-০৪/২৭/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)