প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যা করা সেই প্রেমিকের মৃত্যু

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় সুমাইয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করা প্রেমিক মনির হোসেন (১৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি মনিরের খালা রোজিনা বেগম নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। মনিরের লাশ এখন মর্গে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ বাড়িতে নেওয়া হবে।

ওই স্কুলছাত্রীর পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় মনির পড়ে থাকায় বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়। দিন শেষে টাঙ্গাইলের র‌্যাব সদস্যরা বিষয়টির রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন। এরপর থেকে মনির হাসপাতালে র‌্যাব হেফাজতে চিকিৎসাধীন ছিল।

টাঙ্গাইল র‌্যার-১২ সূত্রে জানা যায়, মনির হোসেনের সঙ্গে ছুমাইয়ার দুবছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত দুই মাস ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ কারণে মনির ছুমাইয়ার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়াও র‌্যাবের কাছে বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে যা দেখে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মনির নিজেই জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, বুধবার সকালে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে সুমাইয়াকে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের সামনের নির্মাণাধীন একটি ভবনের সিড়িকোঠায় ডেকে নিয়ে মনির তাকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর মনির নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

অভিযুক্ত প্রেমিক বাস হেলপার মনির উপজেলার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। নিহত সুমাইয়া আক্তার উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। সে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তারা এলেঙ্গা কলেজ মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল।

এসএইচ-১০/২৮/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)