তালাকের খবর যাচাই করতে স্বামীর কাছে গিয়ে হত্যার শিকার গৃহবধূ!

চাঁদপুর সদর উপজেলায় গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তানজিল হাওলাদারকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার দুপুরে সিআইডি হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি জানান, চাঁদপুর সদর উপজেলার জিন্নাত আলী মোল্লার মেয়ে পারভীন আক্তারের (২৫) সঙ্গে আড়াই বছর আগে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেরমহল গ্রামের মৃত আবু হানিফের ছেলে তানজিল হাওলাদারের (২৪) বিয়ে হয়। তাদের ১ বছর ৮ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

সিআইডি জানায়, গত এক বছর ধরে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে বিরোধ চলছিল ওই গৃহবধূর। তার স্বামী তানজিল হাওলাদার ও শাশুড়ি সুলতানা বেগম প্রায়ই তাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতো এবং বাড়ি থেকে বের করে দিতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ অক্টোবর পারভীন আক্তার শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় তার মায়ের কাছে চলে যায়।

কিছুদিন আগে পারভীন জানতে পারে যে, তার স্বামী তাকে তালাক দিয়েছে। এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য সে স্বামীর বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে ওঠে। এরপর গত ১৩ অক্টোবর রাতে পারভীনের ফোনে তানজিল কল দিয়ে তাকে বাহিরে আসতে বলে।

ওই সময় বাড়ির পাশের খালি জায়গায় কথা কাঁটাকাটির এক পর্যায়ে আসামি তানজিল তার গলা টিপে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনাটি সিআইডির নজরে আসলে বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের দিকনির্দেশনায় এই লোমহর্ষক ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি গ্রেপ্তারের জন্য দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অবশেষে সিআইডির একটি চৌকস দল ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ থেকে মামলার আসামি মো. তানজিল হাওলাদারকে গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছে সিআইডি।

এসএইচ-০৮/০৩/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)