বৈদ্যুতিক শকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ফেনীতে দুই বছর আগে প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যায় এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। রোববার দুপুরে ফেনী জেলা ও দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. ইয়াসিন (৩৫) ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহমেদ জানান, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর অটোরিকশাচালক ইয়াসিনের সঙ্গে উপজেলার শিবপুর গ্রামের মোস্তফার মেয়ে শিরিনা আক্তারের বিয়ে হয়। শিরিনা শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।

বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দেয় শিরিনার পরিবার। কিন্তু তারপরও ইয়াসিন ফের যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শিরিনার ওপর নির্যাতন চালান। নির্যাতনের বিষয়টি বাবার বাড়িতে জানালে তার ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন।

বিয়ের সাড়ে তিন মাস পর ২০১৯ সালের ৬ মার্চ রাতে যৌতুকের জন্য তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা শিরিনার দুই হাতে ও পেটে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৭ মার্চ ইয়াসিনসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন শিরিনার মা।

পরে স্বামী ইয়াসিন, শ্বশুর আহসান উল্যা ও শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে আটক করে পুলিশ। ইয়াসিন হত্যার দায় স্বীকার করে ২০১৯ সালের ৮ মার্চ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি ইয়াসিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ওই বছরের ১০ নভেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন হয় বলে জানান হাফেজ আহমেদ।

এসএইচ-১৮/২১/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)