কিশোরীকে বিয়ে: সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সমন

পটুয়াখালীর বাউফলের আলোচিত কনকদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের বাল্য বিয়ের সত্যতা পাওয়ায় সমন জারি করেছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. জামাল হোসেন এ সমন জারি করেন।

এর আগে রোববার বিকেলে আদালতের দেওয়া নির্দেশে বাল্য বিয়ের সত্যতা পাওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. আল আমিন হাওলাদার বলেন, ২৫ জুন কনকদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার নাবালিকা নাজনীন আক্তারকে (১৩) বাল্য বিয়ে করেন। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদে বসে বাদীর ভাই মো রমজান হাওলাদারকে মারধর করা হয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে গত ২৮ জুন আমার মক্কেল হাফেজ মো. আল ইমরান বাদী হয়ে আদালতে আলোচিত চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারসহ ৭ জনের নাম উল্লখ করে মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুর অব ইভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। বিশেষজ্ঞের মতামত, ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে দীর্ঘ তদন্ত শেষে রবিবার পিবিআই আলোচিত কনকদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার বাল্য বিয়ের প্রমাণ পেয়েছে বলে ৭২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আলোচিত চেয়ারম্যান মো. শাহিনসহ আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

এসএইচ-২৪/২২/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)