বাড়ি গিয়ে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থককে চুড়ি পরালেন

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে পরাজয়ের পর সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীর সমর্থকের হাতে চুড়ি পরানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন মোশারেফ শেখ (৭১) নামে ওই সমর্থক।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য প্রার্থী সেলিনা বেগম সেলির সমর্থনকারী ছিলেন মোশারেফ। নির্বাচনে তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী সেলি হেরে যান। কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক ইউপি সদস্য বালী শোকরানা রব্বানি আজাদের সমর্থিত প্রার্থী বই প্রতীকের মোহিনী বেগম বিজয়ী হন।

পরে সোমবার বিকেলে আজাদ, ইকতিয়ার হোসেন ও শহিদুল শেখসহ ১৫-২০ জন লোক মোশারেফের বাড়িতে যান এবং সেলির পক্ষে নির্বাচন করার কারণে তাকে হুমকি দেন। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের সামনে আজাদের নির্দেশে ইকতিয়ার পকেট থেকে একটি চুড়ি বের করে মোশারেফের হাতে পরানোর চেষ্টা করেন। তবে তার হাতের কবজি মোটা হওয়ার কারণে চুরিটি পুরোপুরি পরাতে পারেননি তিনি।’

মোশারেফ আরও বলেন, ‘আমাকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার হুমকি দিয়ে তারা চলে যান। এরপর তারা স্থানীয় বিভিন্ন মোড় ও বাজারে গিয়ে বলেন মোশারেফ শেখের হাতে চুড়ি পরিয়ে দিয়েছি। এখন আমি এলাকায় মুখ দেখাব কী করে?’ এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই বৃদ্ধ।

পরাজিত প্রার্থী সেলি বলেন, নির্বাচনের আগে থেকে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আজাদ তাকে এবং তার সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি দিয়েছেন। তার একাধিক সমর্থককে মারধর করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালেও গিমটাকাঠি গ্রামের সাহাপাড়া এলাকার খোকন সাহা, পলাশী রানী সাহা ও সুশান্তকে মারধর করেছেন।

মোশারেফের ছেলে রেজাউল শেখ বলেন, আমার বৃদ্ধ বাবাকে এভাবে অপমান অপদস্ত করল, এর কী কোনো বিচার নেই। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।

তবে ইউপি সদস্য আজাদ দাবি করেন, এ ঘটনা তার নির্দেশে ঘটেনি। তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এ নাটক সাজানো হয়েছে। যদি এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এসএইচ-২৪/২৩/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)