সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত তোলার হুমকি

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় নৌকায় ভোট চাওয়ায় সিরিঞ্জ দিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীর রক্ত তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মামুনপুর গ্রামের বাসিন্দা বদরুল ইসলাম, মিরপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়া ও জুয়েল মিয়া।

হারুন অর রশীদ সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। তিনি গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সুরমা ইউপি নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বীর প্রতীকের সঙ্গে পরাজিত হন।

থানায় সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের খাগুরা গ্রামের বাসিন্দা হারুন অর রশীদ তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার থেকে শুক্রবার একই ইউনিয়নের মামুনপুর গ্রামের বদরুল ইসলামকে কল দিয়ে রক্ত তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোমার এতো বড় সাহস, তুমি নির্বাচনের দিন মশিউরের কাছে নৌকায় ভোট চাইছো। তুমি, রফিক এবং হাছান আলীর ছেলে জুয়েল তোমরা যারা নৌকার হয়ে ভোট চাইছো তোমাদের বেঁধে তোমাদের কাছ থেকে আমি ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করবো, টাকা উদ্ধার করতে না পারলে সিরিঞ্জ দিয়া তোমাদের রক্ত তুলে নেব।’

বদরুল ইসলামের সাথে হারুন অর রশীদের এই কথোপকথনের কল রেকর্ড ইতোমধ্যে বিভিন্ন মানুষের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বীরপ্রতীক বলেন, ‘নৌকার পক্ষে কাজ করায় আওয়ামী লীগের কর্মীদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন আমার প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছি। অভিযোগ করে বাড়ি ফেরার পথে আমার এক কর্মীকে মারধর করেছে হারুন অর রশীদ। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমার কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় আছে। আমি এ বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক মহোদয়কেও অবগত করেছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদুলাল ধর বলেন, ‘গতকালকে হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এখন এটার তদন্ত চলছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে গতকালকে জিডি করার পর কাউকে মারধরের কোনো অভিযোগ পাইনি।’

অভিযুক্ত হারুন অর রশীদ বলেন, ‘অভিযোগটি মিথ্যে বানোয়াট এই ভয়েস রেকর্ড আমার না। সে আমার মামাতো ভাই। তাকে আমি সব সময় স্নেহ করি।’

এসএইচ-২২/২৭/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)