পরিবারের সদস্য ১৩ হলেও ভোট পেলেন ৩টি!

হার-জিত নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা। এই বাক্যটি যেন জালাল উদ্দিনের জন্যই! নির্বাচনে দাঁড়ানো যেন তার নেশায় পরিণত হয়েছে। ভোটাররা দূরের কথা নিজের পরিবারের লোকজনও ভোট দিচ্ছে না তাকে। তবুও নির্বাচ করেই যাচ্ছেন তিনি।

জানা গেছে, জালাল উদ্দিন ওরফে কবিরাজের পরিবারের সদস্য ১৩ জন। কিন্তু ২০১৬ সালের নির্বাচনে দুইটি আর এবারের নির্বাচনে তিনি পেলেন মাত্রটি তিনটি ভোট। তার মানে নিজের পরিবারের সদস্যরাও ভোট দেননি তাকে!

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাদিরকোল গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন। আজ রোববার অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পেয়েছেন মাত্র তিন ভোট।

এ নিয়ে ওই ওয়ার্ডে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে অংশ নিলেন জালাল কবিরাজ। ২০১১ সালের নির্বাচনে তিনি সর্বোচ্চ ১৩৩ ভোট পেয়েছিলেন।

জানা গেছে, প্রার্থীদের মধ্যে হুমায়ুন কবির ফুটবল প্রতীকে ৬৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম মোরগ প্রতীকে পেয়েছেন ৪১০ ভোট এবং মির্জা আব্বাছ টিউবওয়েল প্রতীকে একটি ভোটও পাননি।

হলফনামা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ সালে এসএসসি পাস করেন জালাল উদ্দিন। তার সংসারে তিন স্ত্রী, চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে তার স্ত্রীরাসহ তিন ছেলে ও ২ মেয়ে ভোটার।

জালাল উদ্দিন বলেন, ভোটাররা বোঝেন না বলেই তারা অযোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। তবে একদিন মানুষের ভুল ভাঙবে!

এসএইচ-০৪/২৯/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)