প্রেম করে বিয়ে, অথচ স্ত্রীকে তুলে আনা হলো না লুৎফরের!

প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন অটোচালক লুৎফর। মাত্র ১০ দিন আগে বিয়ে করেন তিনি। শুক্রবার তার বউ তুলে আনার কথা ছিল। তবে, নববধূকে তুলে আনার পরিবর্তে উল্টো জঙ্গল থেকে তার গলাকাটা মরদেহ তুলে আনল পুলিশ!

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়া এলাকার গাজারী বনের ভেতর ঘটে এমন ঘটনা। নিহত শরীফুল ইসলাম লুৎফর (২০) উপজেলা প্রহলাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন অটোচালক ছিলেন।

নিহতের স্বজনরা জানায়, লুৎফর ভাড়া করা অটোরিকশা চালাতেন। প্রতিদিনের মত গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে অটো নিয়ে বের হন। সন্ধ্যায়ও বাড়ি ফিরে আসেননি তিনি। স্থানীয় লোকজন বনখড়িয়া এলাকার গাজারী বনের ভেতর একটি অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান অটোরিকশার মালিক মোশারফ ও লুৎফরের স্বজনরা। তারা অটোটিকে সনাক্ত করতে পারলেও সেখানে লুৎফরের সন্ধান পাননি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলেক মিয়া জানান, এ ঘটনা শুনে তিনি পুলিশকে খবর দেন। স্থানীয়দের নিয়ে পুলিশ বনের ভেতরে অনুসন্ধান চালালেও সেদিন পাওয়া যায়নি লুৎফরকে। পরে আজ শুক্রবার স্থানীয় লোকজন বনখড়িয়া থেকে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনম্যান্টগামী সড়কের পাশে বনের ভিতর তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অটোচালক শরীফুল ইসলাম লুৎফরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।

শ্রীপুর থানার এসআই কামরুল হাসান জানান, আগের দিন খোঁজাখুঁজি করেও মরদেহ পাওয়া না গেলেও শুক্রবার সকালে লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে নিহতের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেন তারা। মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে জানান তিনি।

এসএইচ-১৫/১০/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)