কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সাত সিদ্ধান্ত

স্বামী-সন্তানসহ বেড়াতে গিয়ে এক নারী ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনার জেরে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবার মান বাড়াতে তৎপর হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে প্রতিটি আবাসিক হোটেলে নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা চালুসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

জেলা প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১. সব আবাসিক হোটেলে রুম বুকিং দেওয়ার সময় পর্যটকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও দাখিল করতে হবে।

২. আবাসিক হোটেলসমূহে অনুসরণীয় একটি অভিন্ন আদর্শ কর্মপদ্ধতি (এসওপি) প্রণয়ন করা হবে।

৩. প্রতিটি হোটেলে কক্ষ সংখ্যা, মূল্য তালিকা ও খালি কক্ষের সংখ্যা সম্বলিত ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করতে হবে।

৪. পর্যটকদের সুবিধার্থে ডলফিন মোড়ে সুবিধাজনক স্থানে একটি তথ্য কেন্দ্র ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে।

৫. প্রতিটি আবাসিক হোটেলে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু/জোরদার করতে হবে।

৬. হোটেল-মোটেল জোনে অবৈধ পার্কিং এবং সমাজবিরোধীদের কর্মকাণ্ড বন্ধে অভিযান জোরদার করা হবে।

৭. হোটেল মোটেল মালিক সমিতি জেলা প্রশাসনের সহায়তায় তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সপরিবার বেড়াতে গিয়ে এক নারী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। বুধবার রাতে র‌্যাবের একটি দল কলাতলী এলাকার একটি রিসোর্ট থেকে তাকে উদ্ধারের কথা জানায়। দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই ঘটনায় কক্সবাজারের নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়ে। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরদিনই স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা জোরদারে নতুন উদ্যোগ নিলো।

জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিললুর রহমান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. রেজাউল করিম, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহেরসহ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচ-২৬/২৪/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)