এক মাছের দাম ৬৫ হাজার

পটুয়াখালীর মহিপুরে এক জেলের জালে ১০ মণ ওজনের বিরল প্রজাতির একটি শাপলাপাতা মাছটি ধরা পড়েছে।

বুধবার মাছটি আলীপুরের বিএফডিসি মার্কেটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে জেলেরা। এসময় স্থানীয় উৎসুক জনতা মাছটিকে এক নজর দেখতে ভিড় জমায়।

স্থানীয় জেলেদের সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের বাশখালির একটি নাম বিহীন ট্রলার ওই মাছটিকে নিয়ে আসে। পরে স্থানীয় মোহেষখালী ফিসের মালিক ইউসুফ ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ৬৫ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করে দেন।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, শাপলাপাতা মাছ ধরা এবং বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ। এ বিষয়ে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এ আগে গত ১৩ নভেম্বর বরগুনার তালতলী উপজেলা একটি মাছ বাজারে তিন লাখ টাকায় ১৫ মণ (৬০০ কেজি) ওজনের একটি শাপলা পাতা মাছ বিক্রি করা হয়। তালতলী বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. খলিলুর রহমান ৫০০ টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি করেন।

সাগর সৈকত কুয়াকাটা সংলগ্ন মহিপুরের খান ফিশ মৎস্য আড়ত থেকে দেড় লাখ টাকায় মাছটি কিনে তালতলীতে নিয়ে যান খলিলুর রহমান। এক ঘণ্টার মধ্যে ১৫ মণের মাছটি বিক্রি হয়ে যায়।

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস বলেন, মাছটিকে আঞ্চলিকভাবে শাপলাপাতা মাছ বলা হলেও এটি হচ্ছে স্ট্রিংরে প্রজাতির মাছ। এই প্রজাতির মাছ অগভীর সমুদ্রে বেশি পাওয়া যায়। খেতে অনেক সুস্বাদু। আগে এ প্রজাতির মাছ প্রচুর পাওয়া যেত। এখন তেমন পাওয়া যায় না।

এসএইচ-২১/২৯/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)