সীমান্তে বাংলাদেশি খুন, শরীরে ছিল এলোপাতাড়ি গুলির চিহ্ন

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে নিহত লুকেশ রায়ের (৩৬) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সুরতহাল তৈরির সময় তার শরীরে এলোপাতাড়ি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভারতীয় খাসিয়াদের ‘ছররা গুলি’তেই লুকেশের মৃত্যু হয়েছে- এমন ধারণা পুলিশ ও স্থানীয়দের। নিহত লুকেশ রায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ গ্রামের বিষ্ণু রায়ের ছেলে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম জানান, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় লুকেশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। লুকেশের সাথে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল শৈলেন কন্দ নামের আরেকজন। ওসমানী হাসপাতালে সে ভর্তি হয়েছিল বলে খবর পাওয়া গেলেও তাকে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। শৈলেন কালাইরাগ গ্রামের দেব কন্দের ছেলে।

সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় উপস্থিত থাকা এক পুলিশ সদস্য জানান, নিহত লুকেশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন ছিল। এর মধ্যে কোমরের নিচে ও যৌনাঙ্গে মারাত্মক আঘাত ছিল।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার সন্ধ্যায় বিজিবির সহযোগিতায় কালাইরাগ সীমান্তের ১২৫১ নম্বর পিলারের পাশ থেকে লুকেশ রায়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। স্থানীয় লোকজন জানান, গত শুক্রবার লুকেশ ও তার সঙ্গী শৈলেন কন্দ ভারতে অনুপ্রবেশ করেন।

শুক্রবার কালাইরাগ সীমান্তে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শৈলেন কন্দকে উদ্ধার করা হলেও লুকেশ নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার লুকেশের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এসএইচ-২১/০২/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)