টাকা ছাড়াই পুলিশে চাকরি পেয়ে কাঁদলের ৩১ তরুণ-তরুণী

চাকরি নয়, সেবা’ এই স্লোগানে দ্বিতীয়বারের মতো পিরোজপুরে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

পিরোজপুর শহরের রায়ের কাঠী পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুল ইসলাম। এবার স্বচ্ছ ও প্রভাবমুক্ত এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে পুলিশ বাহিনীতে যুক্ত হলেন আরও ৩১ তরুণ-তরুণী। এদের মধ্যে তিন নারী এবং আট মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি রয়েছেন।

অনলাইন আবেদন বাবদ মাত্র ১২০ টাকা খরচে কনস্টেবলের চাকরি পেয়ে তারা বেজায় খুশি। ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তারা আবেগে উদ্বেলিত হয়ে কেঁদে ফেলেন। সেইসঙ্গে তারা স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করায় জেলা পুলিশসহ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ফলাফল প্রকাশের পর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুল ইসলাম চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহবান জানান।

যারা নির্বাচিত হয়নি তাদের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করেন। ফলাফল ঘোষণার সময় অন্যদের মধ্যে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেনসহ নিয়োগ বোর্ডের সদস্য, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান (পিপিএম সেবা) জানান, জেলার ৭টি উপজেলা থেকে এক হাজার ২০০ আবেদনকারী অনলাইনে পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন যাচাই-বাছাই শেষে শারীরিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষার জন্য তাদের নামের তালিকা জেলা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়।

নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের পিরোজপুরে পুরুষদের লং জাম্প, হাই জাম্প, ১৬০০ মিটার দৌড়সহ বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মেয়েরাও বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি এক হাজার মিটার দৌড়ে অংশ নেন। প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হওয়াদের মধ্যে পিরোজপুর সদরে ৯ , কাউখালীতে চার, নেছারাবাদে দুই, নাজিরপুরে তিন, ইন্দুরকানীতে তিন, ভাণ্ডারিয়ায় চার এবং মঠবাড়িয়ায় ছয়জন রয়েছেন।

এসএইচ-৩৬/১১/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)