ধানের জমি থেকে অজগর উদ্ধার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ধানক্ষেত থেকে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে স্থানীয় সংগঠন বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। বৃহস্পতিবার  উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়।

বন্যপ্রাণী সেবা ফান্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল জানান, সকাল ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গলের নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নূর মিয়া ফোনে জানান- তাদের গ্রামের ধানক্ষেতে একটি অজগর সাপ পড়ে আছে। সেটি নড়াচড়া করতে পারছে না। তবে জীবত আছে।

এমন খবর পেয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের প্রাণী সংরক্ষক তাজুল ইসলাম ও শুভ্রতকে সঙ্গে নিয়ে বেলা ১১টার দিকে অজগরটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। অজগরটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য বর্তমানে লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বন বিভাগের সহায়তায় সাপটিকে অবমুক্ত করা হবে।

বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, অজগর নির্বিষ একটি সাপ। এই সাপটি নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির, প্রয়োজন ছাড়া নড়াচড়াও করে না। এই প্রজাতিটি গাছে একাকী বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে প্রজননকাল।

দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। সাপটি সাধারণত মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা ইঁদুর, ‍মুরগি, সাপ-কচ্ছপের ডিম, ছোট বন্যপ্রাণী ইত্যাদি খায়। এটি তার আকারের চেয়েও অনেক বড় প্রাণী খুব সহজেই গিলে খেতে পারে।

তিনি আরও জানান, চামড়ার জন্য সাপটি পাচারকারীদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের বনাঞ্চল থেকে এটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী এ বন্যপ্রাণীটি সংরক্ষিত, তাই এটি হত্যা বা এর যে কোনো ক্ষতি করা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ।

এসএইচ-০২/০৫/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)