আলো জ্বললো স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে

স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে আলো জ্বালানো হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাওয়া প্রান্তের স্ট্রিটলাইটগুলোয় আলো জ্বালানো হয়।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পদ্মা সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট রয়েছে ৪১৫টি। এ ছাড়া দুপাড়ের সংযোগ সড়কে বসেছে ২০০টি ল্যাম্পপোস্ট। এরই মধ্যে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে ৮০ কিলোওয়াটসম্পন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছে। সেতুর দুই প্রান্তের সাবস্টেশন থেকে এসব ল্যাম্পপোস্টে দেয়া হবে বিদ্যুৎ সংযোগ।

পদ্মা সেতুকে যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে শেষ মুহূর্তে চলছে রোড মার্কিংয়ের কাজ। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ জুনের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ হবে।

আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরায় হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষ্যে ওই এলাকায় ১০ লাখ মানুষের জমায়েত করার পরিকল্পনা করেছে আওয়ামী লীগ।

পদ্মা সেতুর মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সারা দেশে একযোগে দেখানোর ব্যবস্থা করতে ১ জুন সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পাশাপাশি অন্য সাত জেলায়ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানোর জন্য বলা হয়েছে। একই দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাকি জেলাগুলোতে একদিনের জন্য অনুষ্ঠান পালন করতে বলা হয়েছে। তবে কোনো জেলা চাইলে একাধিক দিনও অনুষ্ঠান করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে।

খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে মূল পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি ছাড়িয়েছে ৯৯ শতাংশ। সার্বিক অগ্রগতি সাড়ে ৯৪ শতাংশের বেশি।

পদ্মা সেতু দেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে।

দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়কপথ এবং নিচের স্তরটিতে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানো হয়। ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের এ সেতু।

এসএইচ-১৬/০৪/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)