ছাত্রকে পিটিয়ে একে একে ৭টি বেত ভাঙলেন শিক্ষক

বরগুনার কোচিং সেন্টারে দরজা বন্ধ করে শতাধিক বেত্রাঘাত করা হয়েছে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে। তাকে পেটানোর সময় একে একে সাতটি বেত ভেঙেছেন শিক্ষক।

শিক্ষকের এমন অমানবিক আচরণের অভিযোগ বরগুনার তালতলীর সাকসেস কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও পরিচালক মোহাম্মদ ছগির হোসেনের বিরুদ্ধে। বেদম প্রহারের এ ঘটনা তিন মাস আগের হলেও দুদিন আগে ভিডিওটি যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর অভিভাবক ও সহপাঠীরা। কোচিং সেন্টারটি বন্ধের পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

নির্যাতিত কিশোর লাউপাড়া সাগর-সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সহপাঠীর সঙ্গে মারামারি হওয়ার কারণে, তার ওপর ক্ষিপ্ত হন ওই শিক্ষক। এরপর কোচিং সেন্টারের দরজা বন্ধ করে তাকে বেধড়ক পেটান। অনুনয় বিনয় করেও রক্ষা পায়নি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. আসাদ।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক, সহপাঠী ও অন্যান্য শিক্ষক।

বরগুনার তালতলী লাউপাড়া সাগর-সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম হায়দার বলেন, ‘এ ব্যাপারে কিছু জানি না। কোথায় তার কোচিং সেন্টার বা ওই ছাত্র কোথায় পড়ে, সেটাও আমার জানা নেই। ৩-৪ দিন আগে আমার মোবাইলে একটি ভিডিও দেখেছি। এটা দেখেই বিষয়টি জেনেছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। তবে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ছেলেটিকে চিকিৎসার খরচ দিয়েছেন বলে শুনেছি।’

এদিকে সময় সংবাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কোচিং সেন্টার থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত শিক্ষক ছগির হোসেন। পরে তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

তালতলী থানার সেকেন্ড অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই মাত্র ভিডিও ভাইরালের বিষয়টি শুনলাম। ভুক্তভোগীর পরিবার যদি অভিযোগ করে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জালাল উদ্দীন বলেন, ‘ছাত্রকে পেটানোর খবর পেয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এসএইচ-০১/২৪/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)