মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণার অপেক্ষায় চা শ্রমিকরা

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে মৌলভীবাজারের অধিকাংশ চা বাগানের শ্রমিকরা এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকরা বলছেন, মানসম্মত একটি মজুরির কথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেই তারা কাজে ফিরবেন।

শনিবার মৌলভীবাজারের চা বাগানের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা শুনতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা।

এদিন বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে বৈঠকে বসবেন চা বাগান মালিকরা। এরপর হয়ত আসতে পারে মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা।

কয়েকদিন ধরে শ্রমিকরা জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে। তবে শুরু থেকেই শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজার বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের নিরাশ করবেন না। মানসম্মত একটি মজুরি ঘোষণা করবেন।

চা বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, মৌলভীবাজার জেলায় প্রায় দেড় লাখ চা শ্রমিকের বসবাস।

প্রসঙ্গত, দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সংগতি রেখে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে দেশের ২৪১ চা-বাগানে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকরা। গত ৯ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা।

১৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসে সোমবার দুপুরে শ্রমিকদের একাংশ আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফেরে। আরেক অংশ এখনো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে চা শ্রমিকদের টানা ধর্মঘটে সারা দেশের বাগান থেকে চাপাতা উত্তোলন, কারখানায় প্রক্রিয়াজাত ও উৎপাদন বন্ধ থাকে। এতে স্থবির হয়ে পড়ে দেশের চা শিল্প।

এসএইচ-০৩/২৭/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)