প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকের আত্মহত্যা!

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সরোয়ার হোসেন কাজল (২৬) নামে এক যুবক।

শুক্রবার দিনগত রাতে উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

কাজল একই উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। এদিকে কাজলের পরিবারের দাবি, তাকে ডেকে নিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ওই মেয়ের সঙ্গে কাজলের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কাজল বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালী থেকে গ্রামের বাড়ি কনেশ্বর আসেন। শুক্রবার রাতে কাজলকে ফোন করে প্রেমিকা তার নানা বাড়িতে আসতে বলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রেমিকার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে কাজলকে জানালার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ঝুলতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কাজলের ভাই শহিদুল বলেন, আমার ভাই ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেম করতো কি না, তা আমরা জানতাম না। মানুষের মুখে শুনেছি ওদের নাকি পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল। কখনো আমার ভাই পরিবারের কাছে বলেনি। গত রাতে খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়েছিল।

হঠাৎ ফোন আসায় ও (কাজল) বাসা থেকে বের হয়ে যায়। রাত ১টার সময় হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে ওর লাশ দেখতে পাই। ওই মেয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে ওই প্রেমিকার মা বলেন, আমি কিছু জানি না। আমার মেয়ে কাজল মারা যাওয়াতে পাগলের মতো করছে। ওকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছি।

এ ব্যাপারে ডামুড্যা থানার ওসি শরীফ আহমেদ বলেন, হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএইচ-১২/২৭/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)