বেহেশতে কি মানুষের সন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে?

বেহেশতে কি মানুষের

মানুষের মন যা চাইবে কিংবা মনে যে আকাঙ্খা জন্ম নেবে তাই পাওয়া যাবে। কিন্তু এ আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা কোথায় পূরণ হবে? কে, কীভাবে এ চাহিদা পূরণ করবেন? এ চাহিদা পূরণ করার প্রয়োজনীয়তাই বা কী? এ সম্পর্কে মহান আল্লাহর নির্দেশনায় রয়েছে সুস্পষ্ট তথ্য।

আল্লাহ তাআলা সুরা আয-যুখরূপের ৭১নং আয়াতে উল্লেখ করেছেন, ‘তাদের কাছে পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র এবং তথায় (বেহেশতে) রয়েছে এমন নেয়ামত, মানুষের মন যা আকাঙ্ক্ষা করে এবং দেখলে মানুষের চোখ জুড়িয়ে যায়। আর সেখানে তোমরা চিরকাল অবস্থান করবে।’

মানুষের এ আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে পরকালের চিরস্থায়ী শান্তির স্থান জান্নাতে। এ চাওয়া-পাওয়া পূরণ করার কারণ হলো যারা দুনিয়াতে আল্লাহর ইচ্ছাধীন নিজেদের জীবন পরিচালনা করেছে। আর সে কথার সত্যতাই আল্লাহ তাআলা কুরআনের বিভিন্ন সুরায় উল্লেখ করেছেন। আর হাদিসেও রয়েছে এ রকম সুস্পষ্ট তথ্য। বর্ণিত আছে যে-

মানুষ যা চাইবে আল্লাহ তাআলা তাই দান করবেন। যার সঙ্গে সাক্ষাৎ কামনা করবে, তার সঙ্গেই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হবে।

একবার প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সন্তান-সন্তুতি মানুষের নয়ন ও মনের শান্তির কারণ হয় তবে কি জান্নাতিদেরও সন্তান-সন্তুতি হবে?

প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যদি কোনো জান্নাতি সন্তান-সন্তুতি আকাঙ্খা করে তবে অনতিবিলম্বে তার এ আকাঙ্খা পূরণ করা হবে।’ (তিরমিজি ও বায়হাকি)

জান্নাতিদের সন্তান-সন্তুতি কামনা করাও হবে একটা প্রশান্তি কারণ। তাইতো মহান আল্লাহ তাআলা বান্দার এ চাহিদাও পূরণ করবেন। অর্থাৎ বান্দা মনে মনে আকাঙ্খা করবে আর অমনি মানুষের এ চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা কুরআনে সে কথাই উল্লেখ করেছেন-

‘তথায় (বেহেশতে) রয়েছে এমন নেয়ামত, মানুষের মন যা আকাঙ্খা করবে এবং যা দেখলে মানুষের নয়ন জুড়ায়।’

উল্লেখ্য যে, আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য এমন জান্নাত নির্মাণ করেছেন যার একটি ইট হবে রূপার আর একটি ইট সোনার দ্বারা নির্মিত। আর সেই জান্নাতের ইটগুলো জোড়া লাগানোর জন্য যে গারা তৈরি করা হয়েছে তা কস্তুরি দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে।’ (তাফসিরে মাজহারি)

সুতরাং জান্নাতের পরম সুখ ও মনের সব চাহিদা পূরণে দুনিয়ার সম্পদ, মদ-নারীসহ অন্যান্য সুখের নেশায় নিজেকে আত্মনিয়োগ না করে মহান আল্লাহর ভয় অন্তরে জাগ্রত রেখে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করাই হোক জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনার জন্য তার ভয় ও মহব্বত অন্তরে ফয়দা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-০৫/২৬/০২ (ধর্ম ডেস্ক)