ইসলামিক তথ্যসূত্রানুসারে চল্লিশ বছর বয়সে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সা.) নবুওয়ত লাভ করেন, অর্থাৎ এই সময়েই আল্লাহপাক তাঁর কাছে বাণী প্রেরণ করেন। আজ-জুহরি বর্ণিত হাদিসে অনুসারে মুহাম্মাদ (সা.) সত্য দর্শনের মাধ্যমে ওহি লাভ করেন।
ত্রিশ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর মুহাম্মাদ (সা.) প্রায়ই মক্কার অদূরে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় কাটাতেন। তাঁর স্ত্রী খাদিজা নিয়মিত তাঁকে খাবার দিয়ে আসতেন।
আজ আসুন জেনে নেয়া যাক যে ১৪টি কাজ মহানবী (সা.)-এর জন্য বিশেষভাবে বৈধ ছিল:-
১। গনিমতের সম্পদ ভক্ষণ করা, অন্য নবীর শরিয়তে তা অবৈধ ছিল।
২। গনিমতের এক-পঞ্চমাংশ নিজে ব্যয় করা।
৩। সাওমে বেসাল তথা দিবা-রজনীতে না খেয়ে একাধারে রোজা রাখা।
৪। চারের অধিক বিবাহ করা।
৫। ‘হেবা’ শব্দ ব্যবহার করে বিবাহ করা।
৬। অভিভাবক ছাড়া বিবাহ করা।
৭। মোহর ছাড়া বিবাহ করা।
৮। ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করা।
৯। স্ত্রীদের সঙ্গে শপথ ভঙ্গ করা।
১০। মোহরানা স্বাধীনভাবে নির্ধারণ করা।
১১। ইহরাম ছাড়া মক্কায় প্রবেশ করা।
১২। হারাম শরিফে যুদ্ধবিগ্রহ করা (অন্য নবীদের সময় হারাম ছিল। মক্কা বিজয়কালে কিছু সময়ের জন্য হালাল করা হয়েছে)।
১৩। তাঁর কেউ ওয়ারিশ হয়নি।
১৪। তাঁর ওফাতের পরও স্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক বজায় থাকা (কুরতুবি)।
আরএম-১২/০৪/০৫ (ধর্ম ডেস্ক)