বোবা মানুষের নামাজ আদায়ের পদ্ধতি

বোবা মানুষেরও নামাজ পড়তে হবে। তবে কিভাবে পড়বে এ ব্যাপারে আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরা উত্তরে লিখেছেন, এমন ব্যক্তি নিজ সাধ্যানুপাতে নামাজ আদায় করবে।

কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোনো কাজের ভার দেন না। অন্যত্র তিনি বলেন, আল্লাহ তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান। তিনি আরো বলেছেন, অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় করো। (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা : ৬/৪০৩)

সুতরাং এমন ব্যক্তি তিলাওয়াত ও তাসবিহ আদায়ের সময়ে ঠোঁট নাড়াবে কি না—এ ব্যাপারে আল কুয়েত থেকে প্রকাশিত ইসলামী আইন বিশ্বকোষ আল ‘মাউসুআ’তুল ফিকহিয়া’য় এসেছে, ইসলামী আইনবিদরা এ বিষয়ে একমত যে, যে ব্যক্তি বোবা হওয়ার কারণে কথা বলতে অক্ষম তার থেকে ইবাদতের কথন বা পঠন রহিত হয়ে যাবে। তবে তার জন্য তাকবির ও কিরাতে ঠোঁট নাড়ানো ওয়াজিব কি না—এ বিষয়ে ইসলামিক স্কলারদের মতপার্থক্য করেছেন। মালেকি, হাম্বলি ও হানাফি মাজহাবের বিশুদ্ধ মতানুপাতে, তার জন্য ঠোঁট নাড়ানো ওয়াজিব নয়। বরং এমন ব্যক্তি মনে মনে তাকবির বলবে। কেননা ঠোঁট নাড়ানো তার ক্ষেত্রে অহেতুক কাজ। আর ইসলামী শরিয়ত অহেতুক কাজ করার নির্দেশ দেয় না। (আল মাউসুআ’তুল ফিকহিয়া : ১৯/৯২)

আরএম-০৪/২৯/০৮ (ধর্ম ডেস্ক)