মুসলিম-অমুসলিম বিয়ে: জায়েজ না নাজায়েজ

মুসলিম-অমুসলিম

জীবন-সমাজের প্রতিটি স্তরের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, করণীয় ও বর্জনীয় দিক আলোকপাত হয়েছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনে মজিদে। যাতে প্রত্যেক যুগের মানুষ নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারে।

৬ ডিসেম্বর মিথিলা-সৃজিত দুজনই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তারা দুজন দু ধর্মের। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন মুসলমান কী অন্য ধর্মাবলম্বীর সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন?

ইসলাম মূলত শান্তির ধর্ম। এই ধর্ম সবসময়ই মানুষের শান্তি চায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ পরবর্তী জীবনে যেন কোন প্রকার মনোমালিন্য বা বিচ্ছেদের সৃষ্টি না হয়- ইসলাম কিন্তু এদিকেও বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন। ছেলে-মেয়ে পরস্পরের আকিদা-বিশ্বাস, সমাজ-সংস্কৃতি ও রীতিনীতিতে এক ও অভিন্ন হবে। তবে ধর্ম যদি এক না হয় সেক্ষেত্রে মুসলিম নর-নারীর সঙ্গে অমুসলিম নর-নারীর বিয়ে করা বৈধ নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

অবশ্য কোন নর বা নারী বিয়ের আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে, আল্লাহ ও রাসূল (সঃ)- এর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে তবে তাকে বিয়ে করা জায়েজ।

এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন মজিদে মহান আল্লাহপাক বলেছেন, ‘তোমরা মুশরিক মহিলাদের বিয়ে করো না মুমিন না হওয়া পর্যন্ত।’

অপর দিকে কোন মুসলিম নারীর সঙ্গে অমুসলিম পুরুষের ও অমুসলিম নারীর সঙ্গে মুসলিম পুরুষের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। পবিত্র কুরআনের সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ বলেন, ‘কোন মুশরিকের সঙ্গে তোমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনবে। অমুসলিম অপেক্ষা একজন মুসলিম দাস তোমাদের জন্য অধিক উত্তম, যদি এমনও হয় যে, তারা তোমাদের নিকট পছন্দনীয়।’ (সূরা বাকারা: আয়াত নং-২২১)

কুরআনের অন্য এক বর্ণিত হয়েছে, ‘না তারা (অমুসলিম নারী) কোন পুরুষের (মুসলিম পুরুষ) জন্য হালাল, আর না তারা (অমুসলিম নারী) তাদের (মুসলিম পুরুষ) জন্য হালাল। (সূরা মুমতাহিনা: আয়াত নং-১০)

আরএম-২৪/১১/১২ (ধর্ম ডেস্ক)