রাত জেগে ইবাদতের ফজিলত

রাত জেগে

আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ ও মাহমুদ রহ. আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জীবিতকালে কোন ব্যক্তি স্বপ্ন দেখলে তা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে বর্ণনা করত।

এতে আমার মনে আকাঙ্খা জাগল যে, আমি কোন স্বপ্ন দেখলে তা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বর্ণনা করব। তখন আমি যুবক ছিলাম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সময়ে আমি মসজিদে ঘুমাতাম।

তিনি বলেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন দুজন ফেরেশতা আমাকে ধরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে চলেছেন। তা যেন কুপের পাড় বাঁধানোর ন্যায় পাড় বাঁধানো। তাঁতে দুটি খুটি রয়েছে এবং এর মধ্যে রয়েছে এমন কতক লোক, যাদের আমি চিনতে পারলাম।

তখন আমি বলতে লাগলাম, আমি জাহান্নাম থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই। তখন অন্য একজন ফেরেশতা আমাদের সংগে মিলিত হলেন। তিনি আমাকে বললেন, ভয় পেয়ো না।

আমি এ স্বপ্ন (আমার বোন উম্মুল মু’মিনীন) হাফসা রা. -এর কাছে বর্ণনা করলাম। এরপর হাফসা রা. তা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বললেন, আব্দুল্লাহ কতই ভাল লোক ! যদি রাত জেগে সে সালাত (তাহাজ্জুদ) আদায় করত! এরপর থেকে আবদুল্লাহ রা. খুব অল্প সময়ই ঘুমাতেন।

এই হাদিসের দ্বারা রাত জেগে ইবাদাতের গুরুত্ব সাবেত হয়। রাতের ইবাদাতের ফজিলতের ব্যাপারে আরও অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

আরএম-৪৩/১২/০৩ (ধর্ম ডেস্ক)