হাটিকুমরুল গোলচত্বরে নির্মাণ হচ্ছে ইন্টারচেঞ্জ

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় ৪ লেনের মহাসড়কের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাজাতিক মানের ইন্টারচেইঞ্জ। এর মাধ্যমে সহজেই রাস্তা পরিবর্তন করতে পারবে এ পথে চলাচলকারী যানবাহনগুলো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে মহাসড়কে দীর্ঘদিনের যানজটের ভোগান্তির পাশাপাশি কমে আসবে সড়ক দুর্ঘটনা। তিন বছরের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।

হাটিকুমরুল গোলচত্বর, এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২৭টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। ফলে প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। এই দুর্ভোগ কমাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম অংশ থেকে রংপর পর্যন্ত ৪ লেনের কাজ শুরু করেছে। ৪ লেনের মহাড়কের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এ হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় নির্মাণ করা হবে আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ। এই ইন্টারচেঞ্জের মাধ্যমে গোলচত্বরের ১ কিলোমিটার আগেই ভাগ হয়ে যাবে বিভিন্ন জেলার যানবাহনগুলো।

আধুনিক নির্মাণশৈলীতে থাকবে নানা সুযোগ সুবিধা। থাকছে গাড়ি পার্কিং সুবিধাসহ চালকদের বিশ্রামাগার। পথচারীদের পারাপারের জন্য ফ্লাইওভার ও ওয়াকওয়ে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে বলে মনে করছেন চালক ও যাত্রীরা।

আন্তর্জাতিক মানের এ ইন্টারচেঞ্জ এ দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি ধীরগতির পরিবহনের জন্য থাকছে আলাদা লিংক রোড। এতে খুশি স্থানীয়ভাবে চলাচলকারী পরিবহন চালকরা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে উত্তরবঙ্গের পরিবহন ব্যবস্থায় গতি আসবে বলে মনে করেন সিরাজগঞ্জ বাস-মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান।

হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জের মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ার পাশাপাশি গতিশীল হবে আর্থসামাজিক উন্নয়ন বলে জানান প্রকল্প পরিচালক (সাসেক-২) ড. মো. ওয়ালিউর রহমান।

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহযোগিতায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ করা হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এসএইচ-০৭/২৭/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)