টানা ১২ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। সর্বশেষ নির্বাচনে চরমভাবে বিপর্যস্ত। না মাঠে, না কৌশলে—কোনোভাবেই প্রতিপক্ষের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পেরেছে। কারণ, বিপুল জনসমর্থন থাকার পরও বিএনপি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
স্বাভাবিকভাবেই দলটির নেতা–কর্মীদের অনেকেই হতাশ। বিশেষ করে যাঁরা ক্ষমতাবলয়ের কাছাকাছি থেকে সুবিধা লাভের চিন্তা করেন। কিন্তু যাঁরা প্রকৃতই রাজনীতিবিদ, তাঁরা এখান থেকে নতুন দিনের দিশা খুঁজে পাচ্ছেন।
সরকারের ওপর জনসাধারণ সন্তুষ্ট নয়। কিন্তু বিএনপি সরকারের অজনপ্রিয়তার সুযোগও নিতে পারেনি। বিএনপির নেতৃত্বের দুর্বলতা, সময়কে অনুধাবনের অক্ষমতা, একগুঁয়েমি, বিভিন্ন পর্যায়ে যোগ্য ও দক্ষ নেতা নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণেই দীর্ঘ সময় ধরে দলটি ক্ষমতার বাইরে।
বিএনপি সরকারে নেই, সংসদে নেই, মাঠেও নেই। প্রশ্ন হচ্ছে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির অবস্থান কোথায়? কেবল ঘরোয়া বৈঠক ও বিবৃতির জোরে বিএনপি এ অবস্থায় কী করতে পারবে?
তবে নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কিছু সূত্রের সঙ্গে আলোচনা করে বোঝা গেছে, আগামী কয়েক মাস জোটের দলগুলো সরকারবিরোধী আন্দোলনে যাবে না। বরং সরকার গঠনসহ পরবর্তী পরিস্থিতি দলগুলো আরো কয়েক দিন পর্যবেক্ষণ করবে। আন্দোলনের বদলে প্রচারণা বা গণসংযোগমূলক কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করবে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, আপাতত দল গুছিয়ে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর দিকেই নজর দিচ্ছেন তারা।
কার্যালয়ের পুরো ভবনটি জুড়েই কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির দাবিতে ব্যানার-ফেস্টুন ঝুলছে। কার্যালয়ের সামনে দলটির কোন নেতা-কর্মী চোখে পড়ে না বরং ভবনটির তৃতীয় তলায় বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষকদলের অফিস। সবকটিই তালাবদ্ধ। এখানেও কোন নেতা-কর্মীকে দেখা যায় না।
https://youtu.be/GkUXB4q6tJQ
এসএইচ-২৬/১৬/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)