নেপাল উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা কাড়ে ৫১ প্রাণ

২০১৮ সালের ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২৭ বাংলাদেশি, ২৩ নেপালি ও একজন চীনা নাগরিকসহ মোট ৫১ জন।

বিমানটিতে চারজন ক্রসহ মোট আরোহি ছিলেন ৭১ জন। দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৯ জন ছিলেন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি ও মালদ্বীপের এক নাগরিক।

গত এক বছরে এই দুর্ঘটনার একাধিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের কন্ট্রোলারের পূর্ণ দায়িত্বশীল আচরণের অভাব, ককপিটে পাইলটের ধুমপানসহ কিছু ভুল যেমন অবতরণের সময় সঠিক পথে তিনি উড়োজাহাজ রাখতে পারেননি এবং পাইলট ও ক্রুদের পর্যাপ্ত মনোযোগের অভাব ছিল।

দুর্ঘটনার পর গত বছরের ১৫ মার্চ সারাদেশে ‘শোক দিবস’ পালন করা হয়। পরদিন ১৬ মার্চ সারাদেশের মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনাসভা করা হয়। জাতিসংঘসহ বিশ্বের একাধিক দেশ এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে।

সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এম নাঈম হাসান এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলেন, নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের কন্ট্রোলার আরও দায়িত্বশীল হলে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়ত না।

তবে পাইলটেরও কিছু ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেন। তারপরেও নেপালের কন্ট্রোল টাওয়ার আরও দায়িত্বশীল হলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলেও মনে করেন এম নাঈম হাসান।

অন্যদিকে, এই ঘটনায় গঠিত নেপালের দুর্ঘটনা তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ককপিটে পাইলটের ধূমপানের কারণেই উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। উড়োজাহাজটির দায়িত্বে থাকা পাইলট ধূমপায়ী ছিলেন। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার বা সিভিআর থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

নেপালের তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে পরিস্থিতি সম্পর্কে ‘পাইলট ও ক্রু’ সদস্যদের পর্যাপ্ত মনোযোগের অভাবের কথাও বলা হয়েছে।

এসএইচ-০৫/১২/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)