প্রকাশ্য স্থানে মুখমণ্ডল ঢাকা পড়ে যায় এমন পোশাক পরিধান নিষিদ্ধ করেছে শ্রীলংকা।
ইস্টার সানডেতে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় আড়াইশ জনের বেশি নিহত হওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট পোশাক নিয়ে এমন বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছেন।
মাইথ্রিপালা সিরিসেনা জানিয়েছেন, জরুরি আইনের বিধিমালা প্রয়োগ করে তিনি এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।
প্রেসিডেন্টের অফিস বলছে, চিহ্নিত করার জন্য মুখ দেখা যায়না এমন যে কোনো পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবত হবে এবং এটি করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
তবে এ নিষেধাজ্ঞা মুসলিম নারীরা মুখ ঢেকে রাখতে যে বোরকা বা নিকাব পরিধান করেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি।
যদিও এ ধরনের পোশাককে টার্গেট করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওদিকে গির্জা ও বিলাসবহুল কয়েকটি হোটেলে হামলার পর দেশটিতে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বেশ কিছু ব্যক্তিকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ যদিও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে আরও অনেক জঙ্গি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে আছে।
শ্রীলংকায় শতাব্দী প্রাচীন সময় থেকেই মুসলিমরা বসবাস করছে এবং এখন মুসলিমদের সংখ্যাও সেখানে উল্লেখযোগ্য।
তবে দেশটির মোট দুই কোটি দশ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা দশ শতাংশের নীচে।
তবে এর মধ্যে অল্প পরিমাণ নারীই শরীর ও মুখমণ্ডল ঢেকে এমন নিকাব বা বোরকা পরিধান করে থাকে।
গত সপ্তাহে শ্রীলংকার একজন এমপিও নিরাপত্তাজনিত কারণে বোরকা পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব তুলেছিলেন।
দেশটির মুসলিম পণ্ডিতদের সংগঠন অল সেলন জামিয়াতুল উলামাও মুখ ঢাকা পড়ে যায় এমন পোশাক পরিধান থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।
এদিকে সপ্তাহ শেষে গির্জা ও মসজিদের নিরাপত্তায় বহু সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছিলো গির্জার কার্যক্রমও।
শ্রীলংকা কর্তৃপক্ষ কথিত ইসলামিক স্টেটের অন্তত ১৪০ জন অনুসারিকে খুঁজছে।
শুক্রবার জঙ্গি হামলার জন্য অভিযুক্ত জাহরান হাশিমের বাবা ও দুই ভাই পুলিশী অভিযানে নিহত হয়েছে।
কলম্বোতে আত্মঘাতী হামলায় নিহত জাহরান হাশিম ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠান করেছিলেন।
এবারের হামলার জন্য এ সংগঠনকেই দায়ী করছে শ্রীলংকা কর্তৃপক্ষ।
এসএইচ-০৬/২৯/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)