জঙ্গি নামে হুমকি, ইন্ধনদাতাদের খুঁজছে গোয়েন্দারা

জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন শাখার নামে হুমকিদাতাদের পেছনে কারা আছে সেই রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জঙ্গি হামলার শঙ্কা নিয়ে যখন ভাবা হচ্ছে, তখন আবার দেশের তিন বিশিষ্ট নাগরিককে হুমকির ঘটনা বিষয়টিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এদিকে বিশিষ্টজনদের জঙ্গি সংগঠনের নামে হুমকি দেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটসহ গোয়েন্দারা। হুমকি পাওয়া ব্যক্তিদের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। আল-কায়েদা বা দেশীয় জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের জঙ্গিদের হামলার নির্দেশনার সঙ্গে দেশীয় জঙ্গিদের সূত্র খোঁজা হচ্ছে। এর আগে হুমকির পর হত্যা এবং হুমকির সূত্র ধরে তদন্ত করছে সিটিটিসি।

সম্প্রতি আল-কায়েদার অনুসারীরা তাদের প্রপাগান্ডা চ্যানেল বালাকোট মিডিয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতে লোন উলফ হামলার (সংগঠনের প্রশিক্ষিত সদস্য না হয়েও স্বেচ্ছায় অনুপ্রাণিত হয়ে হামলা) পরিকল্পনা ও নির্দেশনাসংবলিত একটি বার্তা প্রকাশ করে। টেলিগ্রামভিত্তিক প্রপাগান্ডা চ্যানেলগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে ‘লোন উলফ’ নামের ওই অনলাইন ম্যাগাজিন। মার্চ মাসের সংখ্যায় একটি হিটলিস্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল,

একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এবং ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নাম রয়েছে। গত বছরের মার্চে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর ‘লোন উলফ’ হামলা হয়েছিল বলেও উল্লেখ আছে ওই ম্যাগাজিনে। বিষয়টি নজরে আসার পর গত শনিবার ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সুলতানা কামাল। পরদিন একই থানায় জিডি করেছেন মুনতাসীর মামুন।

সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের অক্টোবরে আবদুল হক ও নাহিদ হাসান নামের দুজনকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দাবি করে-১৫৩ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃতরা। তারা অন্যদের ফাঁসাতে এই কাজ করে। তবে বিভিন্ন সময়ে জঙ্গিদের নামে উড়ো চিঠির রহস্য থেকে গেছে আড়ালেই। এখনো ফেসবুকের পেজ, ব্লগ, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ইউটিউব চ্যানেলে কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিককে ‘ইসলামের শত্রু’ ও মুরতাদ বলে প্রচার করা হচ্ছে।

এসএইচ-১১/০৬/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)