সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও ডাক্তার পদবি ব্যবহারে তা মানা হচ্ছে না

প্রচলিত আইনে ডাক্তার পদবি ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও, এর যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে যত্রতত্র। পল্লী চিকিৎসক, মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এমনকি ওষুধের দোকানদারও নামের আগে লিখছেন ডাক্তার, দিচ্ছেন চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রও।

ভুল চিকিৎসরার কারণে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যহানির পাশাপাশি ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও। সারাদেশের মতো পাবনাতেও রয়েছে ভুয়া ডাক্তারদের ছড়াছড়ি।

প্রস্রাব সংক্রমণে আক্রান্ত হলে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় দেড় মাসের শিশু মিসকাতকে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন শিশুটিকে খতনা করার পরামর্শ দেন। দুটি ইনজেকশন দেয়ার পরই শিশুটির মৃত্যু হলে পালিয়ে যায় ডাক্তার পরিচয় দেয়া ইকবাল।

চিকিৎসকদের সনদ দেয়ার একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল। সংস্থাটির আইন অনুযায়ী- এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার পদবী ব্যবহার করা যাবে না। তবে বাস্তবতা হলো, চিকিৎসক ও ওষুধের দোকানীরাও নামের আগে লিখছেন ডাক্তার। এদের কেউ কেউ আবার নিজেকে আসল চিকিৎসক ও বিপদের বন্ধু হিসেবে দাবি করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পল্লী চিকিৎসকরা রোগীদের যত্রতত্র বেশি ওষুধ এবং উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ার কারণে রোগীর শরীরে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মেহেদী ইকবাল বলেন, ওষুধ দোকানি ও যারা ডিপ্লোমা পাস করেছে তারাও নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেন কিন্তু সরকারিভাবে তারা নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারেন না। যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসএইচ-০৭/২৭/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : ডিবিসি নিউজ)