ঝুঁকি নিয়ে অভিবাসনের চেষ্টা করছেন রোহিঙ্গারা

ক্যাম্পের নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে বিপদসংকুল পথে যাত্রা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুই হয়ে দাঁড়ায় নিশ্চিত পরিণতি। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসনের চেষ্টা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আশ্রয় শিবির থেকে এভাবে তাদের যাওয়ার চেষ্টা ও প্রাণহানিতে নষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি।

একটু বেশি রোজগার আর একটু ভালো করে বাঁচার আশায় জীবন তুচ্ছ করে মানুষ উঠে বসছে ইঞ্জিনের নৌকায়। মনে স্বপ্ন এই জলযান তাদের পৌঁছে দেবে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। যেখানে অপেক্ষা করছে কর্মময় জীবনের সোনালী ভবিষ্যৎ। সীমান্তের কড়া পাহারা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে কখনো হয়তো পৌঁছানো যায় কাঙ্ক্ষিত দেশে। কিন্তু প্রায়ই সাগরজলে প্রাণহানির মাধ্যমে খবরের শিরোনাম হন এসব মানুষ।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য বলছে, গত দশ বছরে বাংলাদেশ মিয়ানমারে দুই লাখ মানুষ সাগরপথে পাচার হয়েছে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। আটক হয়েছেন দশ হাজার। নিখোঁজ কিংবা মৃত্যুবরণ করেছেন আড়াই হাজার মানুষ। তারপরও থামছে না অবিনাশী যাত্রা।

জনশক্তি বিশ্লেষক অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, অতি উগ্র জাতীয়তাবাদের যে আবির্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেটা কিন্তু মানুষকে রাষ্ট্রহীন করে তুলছে এবং এ মানুষগুলো কি করবে, এই মানুষগুলোকে রাষ্ট্র কোনো নিরাপত্তা দিচ্ছে না, অর্থনীতি তাদেরকে বাঁচার সুযোগ দিচ্ছে না।

সুতরাং এ রকম একটা হতাশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশি পরিচয় নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমরা যে ম্যানপাওয়ার অন্য দেশে দিই, সেখানে প্রচণ্ড পরিমাণ মধ্যস্বস্তভোগীদের দুর্নীতি, এতগুলোর সমন্বিত রূপ হিসেবে তারা ঝুঁকি নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। পরিণতিতে তারা কখনো কখনো মৃত্যুবরণ করছেন।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর অব. ইমদাদুল ইসলাম বলেন, শুধু মালয়েশিয়া নয় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পরিচয় ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেও যাচ্ছে। নষ্ট করছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি।

যেকোনো মূল্যে অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রা বন্ধ করার কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি।

এসএইচ-০৭/১১/২০ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : সময়)