গণপরিবহন আগের ভাড়ায়

হ্যাপি আক্তার। একজন মিডিয়া কর্মী। থাকেন সাভার আমিন বাজার। সেখান থেকে নিয়মিত অফিস করেন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় একটি অনলাইন পত্রিকাতে। কোভিডের কারণে তার অনেক কষ্ট হতো। পরিবহনেও তাকে গুণতে হতো অনেক টাকা।

কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিলা সব ধরনের গণপরিবহন। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ১ জুন থেকে ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাস চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই তিন মাস হ্যাপি আক্তার প্রতিদিন ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া দিয়েই অফিসে এসেছেন। কিন্তু আজকে সকালে অফিসে আসার সময় অনেক আনন্দ পেয়েছেন। প্রথমত ভাড়া কমেছে। আর দ্বিতীয়ত বাসের সিটও খালি ছিলো।

হ্যাপি আক্তার বলেন, ভাবিষ্যতে এই পরিবহনে আজকের মতই পাবো এটাই আমার প্রত্যাশা।

গত ২৫ আগস্ট বিআরটিএ ও বিআরটিসির কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আভাস দেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গণপরিবহনে আগের ভাড়ায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

২৯ আগস্ট সকালে বিআরটিএ ও বিআরটিসি’র ঢাকা সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সেতুমন্ত্রী জানান, ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগের ভাড়ায় গণপরিবহন চলবে, তবে শর্তসাপেক্ষে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে।

আগের ভাড়ায় বাস চালানোর শর্ত হিসেবে সরকার বলেছে, আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার ও টিকিট বিক্রিকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী আরও বলে দিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গাড়ি চালাতে হবে ট্রিপের শুরু ও শেষে যানবাহন জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এসব নিয়ম অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএকে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।

এদিকে সরকার গণবিজ্ঞপ্তি জারির একদিন আগেই সোমবার সিটভর্তি করে বাস চালানো শুরু হয়েছে রাজধানীতে। যাত্রীরাও আপত্তি না করায় সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে মালিক-শ্রমিকরা।

আগের ভাড়া ফিরে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। কোভিডকালে আর্থিক যে বিপর্যয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, তাতে করে বাড়তি ভাড়া বহন করা অনেকের জন্যেই কষ্টসাধ্য ছিলো।

হ্যাপি আক্তার বললেন, যে বাসে এলাম, তাতে সব যাত্রী ও স্টাফ মাস্ক পরা ছিলেন। অনেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রেখেছেন। তবে বাসের পক্ষ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজ করার কোনো ব্যবস্থা ছিলো না।

ইন্ডিপেন্ডেট টিভির রিপোর্টে দেখোনো হয়েছে, কোনো কোনো বাসে সিটের বাহিরেও যাত্রী নেয়া হচ্ছে।

এসএইচ-০৪/০১/২০ (অনলাইন ডেস্ক)