ডিজিটাল আইন নিয়ে ইইউর উদ্বেগ ‘গৌণ’ বিষয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) উদ্বেগ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়৷ আইনটি নিয়ে বেলজিয়ামে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আপত্তি ওঠায় এমন মন্তব্য করেন তিনি৷

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে ইইউর আপত্তি তোলার দুদিন পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা আমাদের দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি৷ কে কী আপত্তি করল না করল, সেটা গৌণ বিষয়৷”

অনলাইনে অপরাধ দমন করার উদ্দেশ্যের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশের বিতর্কিত আইনটির কয়েকটি ধারা ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ৷ এবং এই আইনের চলমান কয়েকটি মামলার বিষয়েও ইউরোপীয় দেশগুলো জানতে চায় এ বৈঠকে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপত্তি করলে আমরা তাদের বোঝাব যে, আমাদের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে এটা করেছি৷”

সাংবাদিকদের উদ্বেগ এবং বিভিন্ন পক্ষের আপত্তির মধ্যেও ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার আগে থেকে এর সমালোচনা চলছে৷ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ব্যাপক সমালোচিত ৫৭সহ কয়েকটি ধারা বাতিল করে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়৷ পুরনো আইনের বাতিল হওয়া ধারাগুলোও নতুন আইনে রেখে দেওয়া হয়৷

২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অনলাইনে কোনো মন্তব্য শেয়ার করার কারণে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, ডিজিটাল ডিভাইস জব্দ করা এবং গ্রেপ্তারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে৷ আইনটি পাস হওয়ার আগে থেকেই উদ্বেগ জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা৷ জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনারের কার্যালয়ের সর্বশেষ ইউনিভার্সাল পেরিওডিক রিভিউয়ে (ইউপিআর) আইনটির পর্যালোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার সুপারিশ করা হয়েছে৷

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ইইউ এর আপত্তিতে তারা পিছু হটছেন না বলে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন৷

এসএইচ-০১/২৯/২১ (অনলাইন ডেস্ক, ডয়চে ভেলে)