করোনার টিকা নেননি এমন রোগীর মৃত্যু সংখ্যা বেশি

করোনার টিকা নেননি এমন রোগী বর্তমানে মারা যাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। গত এক মাসে করোনায় মারা গেছেন ৩২২ জন। এর মধ্যে ৭২.৭ শতাংশ রোগীই কোভিডের এক ডোজ টিকাও নেননি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার ভ্যাকসিন সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলেও এতে মৃত্যু হার অনেক কম। টিকা নিয়ে মানুষকে ব্যাপক সচেতন করার পাশাপাশি গণহারে টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণের পরামর্শ দেন তারা।

দেশে বেড়েই চলছে করোনার আফ্রিকান ধরন ওমিক্রনের দাপট। গত এক সপ্তাহে রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখেরও বেশি। পিছিয়ে নেই মৃত্যুও। হাসপাতালগুলোতে প্রিয়জন হারানোর কান্নায় ভারী হচ্ছে পরিবেশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত সাত দিনে মারা গেছেন ১৪০ জন, যার মধ্যে ১০৯ জনই কোভিডের এক ডোজও টিকা গ্রহণ করেননি; যা শতাংশের হিসাবে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। আর গত এক মাসের হিসাব বলছে, মোট মৃতের ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ রোগী ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পর্যন্ত দেশে যেসব টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে মৃত্যুহার কমাতে তা অনেক বেশি কার্যকর।

করোনা চিকিৎসা গাইডলাইন কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, যারা টিকা নিয়েছেন তাদের করোনা হলেও উপসর্গ কম, তবে ভাইরাস প্রবেশ করছে। দুই হচ্ছে তাদের শ্বাসকষ্ট কম হচ্ছে, তাদের অক্সিজেন লাগছে না, তাদের আইসিইউ লাগছে না, আর তাদের মৃত্যু সংখ্যা কম যারা টিকা নিয়েছেন।

তবে নির্দিষ্ট বুথ আর সচেতনতার অভাবে অনেকেই এখনো টিকার ব্যাপারে আগ্রহী নন।
তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলছেন, মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে ভ্যাকসিন। বর্তমানে যে মৃত্যু আমরা দেখতে পাচ্ছি, এটা ভ্যাকসিন স্বল্পতা; এটা একটির কারণ।

অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভ্যাকসিন পুরোপুরি করতে হবে।

অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, ভ্যাকসিন সেন্টারগুলো নির্দিষ্ট হওয়ার কারণে আশপাশের মানুষজন নিচ্ছে, কিন্তু যারা দূর থেকে এসে নেবে তাদের আমরা কভার করতে পারছি না। মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে, মানুষকে বোঝাতে হবে। তখন এটা বেশি কার্যকর হবে। দেশে এখন পর্যন্ত দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন টার্গেট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক মানুষ।

এসএইচ-১০/০২/২২ (অনলাইন ডেস্ক)