১০৮ কোটি টাকার নেই কোনো দাবিদার!

বছরের পর বছর দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় বিভিন্ন হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা পড়ে আছে। মালিকানা না-পাওয়া এসব হিসাবে অর্থের পরিমাণ শতকোটি ছাড়িয়েছে। যার নেই কোনো দাবিদার।

বাংলাদেশে ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে অদাবিকৃত ১৫ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে বিভিন্ন ব্যাংক জমা দিয়েছে। পরে ২০১৮ সালে জমা পড়েছে ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা, ২০১৯ সালে জমা পড়েছে ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা, ২০২০ সালে জমা পড়েছে ৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা এবং সবশেষ ২০২১ সালে দাবিহীন আমানত হিসাব থেকে জমা পড়েছে ৩৭ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে এখন পর্যন্ত জমা হওয়া অদাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ১০৮ কোটি ১৮ লাখ ২২ হাজার ৫০৩ টাকা।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০১৮ পর্যন্ত সংশোধিত)’-এর ৩৫ ধারা অনুযায়ী, ১০ বছর ধরে কোনো ব্যাংক হিসাবে লেনদেন না হলে এবং সেই আমানতের গ্রাহককে খুঁজে পাওয়া না গেলে, ব্যাংকগুলোকে সেসব অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা করতে হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১০ বছরের বেশি সময় পড়ে থাকা আমানত বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর একটি নির্দেশনা রয়েছে। অদাবিকৃত আমানতের অর্থ ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দিচ্ছে।

সে অর্থ একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারি কোষাগারে জমা করছে। তবে অনেক ব্যাংক সে অর্থ এখনো জমা করেনি। সেসব ব্যাংকে পরিদর্শনের সময় বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এ ধরনের হিসাব পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।

তবে অনেক ব্যাংকই এ বিধান মানছে না। ১০ বছর ধরে আমানত ও মূল্যবান সামগ্রীর দাবিদার না-থাকলেও কোনো কোনো ব্যাংক সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিচ্ছে না। আবার জমা দিলেও সঠিক নিয়মে তথ্য ও সুদের হিসাব দিচ্ছে না। ব্যাংকগুলো অদাবিকৃত এসব অর্থ বছরের পর বছর নিজেদের সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করছে।

এসএইচ-২২/০৯/২২ (অনলাইন ডেস্ক)