দয়া করে আমাদের বাঁচান’

বিপদে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবস্থায় আটকেপড়া বাংলাদেশি নাবিকরা বারবার জানাচ্ছেন বাঁচার আকুতি। বাংলাদেশ সময় গতরাত ৯টার দিকে পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন ইউক্রেনের বন্দরে থাকা বাংলাদেশি জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান। কথা বলার সময় সংযোগ কেটে গেলে নেটওয়ার্কের জন্য জাহাজের ব্রিজে যান তিনি। এ সময় হঠাৎ রাশিয়ার রকেট হামলায় প্রাণ হারান ঘটনাস্থলেই। ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’।

রাশিয়ার রকেটের আঘাতে বিধ্বস্ত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। আচমকা হামলায় মুহূর্তে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হয় ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে থাকা বাংলাদেশি জাহাজটি। জাহাজের ব্রিজে অবস্থানরত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান প্রাণ হারান ঘটনাস্থলেই।

সহকর্মীরা বলছেন, বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটে দেশে থাকা পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন হাদিস। সংযোগ কেটে যাওয়ায় নেটওয়ার্কের জন্য ব্রিজে অবস্থান করছিলেন তিনি। ঐ সময়ই হামলার ঘটনা ঘটে। ওই জাহাজে অবস্থানকারী এক বাংলাদেশি বলেন, আমি ব্রিজে থাকা অবস্থায় আহত হই। আমার নাকে এবং হাতে কাঁচের টুকরা ঢুকে গেছে। আমাদের ৩য় ইঞ্জিনিয়ার স্যার মারা গেছেন।

অন্য বাংলাদেশিরা বলেন, আমরা সবাই বিপদে আছি। আরও বোমা হামলা হতে পারে। আমাদের উদ্ধার করেন প্লিজ। আমরা মৃত্যুর মুখে। দয়া করে আমাদের বাঁচান।

হামলার শিকার বাংলার সমৃদ্ধিতে এখনও আটকা পড়ে আছেন ২৮ নাবিক। কান্না জড়িত কণ্ঠে তারা বারবার বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন।

অন্য বাংলাদেশিরা বলেন, আমরা সবাই বিপদে আছি। আরও বোমা হামলা হতে পারে। আমাদের উদ্ধার করেন প্লিজ। আমরা মৃত্যুর মুখে। দয়া করে আমাদের বাঁচান।

সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য গেল ২২ ফেব্রুয়ারি ২৯ নাবিক নিয়ে তুরস্ক থেকে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায় ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এড়াতে পণ্য বোঝাই না করেই দ্রুত ফেরত আসার জন্য জাহাজটিকে নির্দেশনা দেয় শিপিং কর্পোরেশন।

এরমধ্যেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অলভিয়া বন্দরেই আটকে রয়েছে এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। জাহাজটিতে ৩৫ দিনের খাবার মজুত আছে।

এসএইচ-২৯/০৩/২২ (অনলাইন ডেস্ক)