রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা

স্টেল্থ ওমিক্রনের পাশাপাশি রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাসটিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দু-চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাসের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে।

রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস হলো করোনার একটি বিশেষ রূপ, যা করোনারই বিভিন্ন ধরনের দুটি মিলিত রূপ বলা যায়। এ পর্যন্ত দুটি রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যার একটি বিএ১ এবং বিএ২ ওমিক্রন স্ট্রেনের সংমিশ্রণ আর অন্যটি ডেলটা এওয়াই৪ এবং ওমিক্রন বিএ১ সংমিশ্রণে গঠিত।

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন তার টুইটে লেখেন: রিকম্বিন্যান্টগুলো প্রত্যাশিত। কারণ, করোনাভাইরাস এখনো মানুষ এবং অনেক প্রাণীর মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। তাই এ থেকে নতুন রূপের উদ্ভব হলে প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান খেরখোভ বলেছেন, ওমিক্রন এবং ডেলটা করোনাভাইরাস রূপের সংমিশ্রণ একটি রিকম্বিন্যান্ট হিসেবে পরিচিত। একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, এতে বিএ১ থেকে স্পাইক এবং স্ট্রাকচারাল প্রোটিন এবং ডেলটা থেকে জিনোমের অবশিষ্ট অংশ রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাসের আবির্ভাবের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। কারণ, এর জেনেটিক গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি। পাশাপাশি ভাইরাসের এই প্রক্রিয়া ভাইরাসের বিবর্তনে সহায়তা করে, যা গবেষক এবং বিশেষজ্ঞদের সামনে আরও চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শক্তিশালী করোনাভাইরাস ক্রমাগত বিকশিত হয়ে আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ হচ্ছে। যার কারণে শুধু দুটি নয়, ভবিষ্যতে আরও রিকম্বিন্যান্টের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে।

বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান খেরখোভ রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য সারা বিশ্বে টেস্টিং, জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং সঠিক ভৌগোলিক উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন। সেই পর্যন্ত রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস রুখতে করোনাবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এসএইচ-১৪/২৭/২২ (অনলাইন ডেস্ক)